মেহেদী হাসান সাকিব, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) সংবাদদাতা: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় অবাধে চলছে পাখি শিকার। তাল সুপারির পাতা দিয়ে তৈরি করা ঘর/ফাঁদ বানিয়ে ধানের ক্ষেতে বক এবং অতিথি পাখি শিকার করে অসাধু শিকারীরা। শীতকাল আসার সাথে সাথেই পাখি শিকার করতে ব্যস্ত হয়ে যায় তারা। উপজেলার রুপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের গাছগড়া, কাউয়াকুড়ি, পাইখাতলা ও পশ্চিম বাগিচাপুরের কিছু এলাকায় আইনের তোয়াক্কা না করেই চলছে পাখি শিকার ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ভোরে ফজরের নামাজের সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগমণ ঘটে এই অসাধু চক্রের।কাঁধে শিকারী বক/পাখি ও পাখি শিকারের খাঁচা নিয়ে ধান ক্ষেতের আইল ভেঙ্গে ও ধান ক্ষেতে ফাঁদ তৈরি করে তারা। ধরা দেয় বিভিন্ন প্রজাতির বক, ঘুঘু, শালিক ও অতিথি পাখি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সঙ্ঘবদ্ধ এই চক্রটি অটো, সাইকেল, ও পায়ে হেঁটে প্রায় ২০ জনের একটি দল অসাধু কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এরা নকলা এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার অসাধু পাখি শিকারী। কেউ শখের বসে আবার কেউ এটাকে পুঁজি হিসেবেই বেঁছে নিয়েছেন বলেও জানা যায়। শিকারে গিয়ে এলাকার সচেতন মানুষের রোষানলে পড়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি তারা।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন আলম (২৫) নামের এক শিক্ষার্থী জানান, গত কিছুদিন যাবত লক্ষ করছি একদল অসাধু পাখি শিকারী এলাকায় বক এবং পাখি শিকারে আসছে। আমরা কয়েকজন তাদের সাথে কথা বলি এবং পাখি শিকার করতে বাধা প্রদান করি। পাখি নিধন আইনের কথা শুনালে তারা বলেন যা করেন করতে পারেন এটা আমাদের কাজ আমরা চালিয়েই যাব।
বজলুর রহমান (৩৫) বলেন, শীতকাল আসলেই অবাধে পাখি শিকারে নামেন তারা। বিষয়টি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঘটতে থাকলে আমরা এলাকার কয়েকজন তাদের নিষেধ করলেও তারা নিষেধ অমান্য করে পাখি শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর নজরে আসলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রেক্ষিতে পাখি শিকারিদের শাস্তি দাবি করেছেন অনেকেই। পাখি ও প্রকৃতি সংরক্ষনে কাজ করে যাওয়া সংগঠন জাগ্রত মানবতা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এলাকার সচেতন মহল এই বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিষয়টি অবগত করলে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হেলেনা পারভীন জানান, অসাধু ওই পাখি শিকারীদের সম্পর্কে খোজ খবর নিচ্ছি। খুব শীগ্রই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।